বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক : তিনি ক্রিজে থাকলে কোনও টার্গেটই নিরাপদ নয়। তিনি থাকলে শেষ ওভারে ৩৭ রানও তুলে ফেলা অসম্ভব নয়। তিনি, আন্দ্রে ডোয়েন রাসেল, ফর্মে থাকলে কী করতে পারেন, দেখল কোহলির বেঙ্গালুরু। ১৩ বলে ৪৮ অপরাজিত নাইট রাইডারদের তৃতীয় জয়ই শুধু এনে দিল তা নয়, টানা পাঁচ ম্যাচ জয়হীন রাখল কোহলিদের। কেমন ছিল শুক্রবার দিনের শেষভাগে রাসেলের সেই দানবীয় ইনিংস? দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিল সেই ১৩টি বলের ইনিংস।
১৫.৪ ওভারে চহালের বলে যখন রানা আউট হলেন, তখন নাইট রাইডার্সদের দরকার ২৬ বলে ৬৭ রান। ১৬তম ওভারে রাসেলকে বল করতে এলেন নিতিন সাইনি। প্রথম বল ওয়াইড। পরের বল অর্থাৎ নিজের ইনিংসের প্রথম বলে কোনও রান পেলেন না রাসেল।
অফস্টাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে ফসকালেন।
১৬.৩ ওভারে সাইনির শর্ট বল কভারে ঠেলে ১ রান নিলেন রাসেল।
১৭.১ ওভারে মহম্মদ সিরাজের একটি ফুল ডেলিভারি। মারতে গিয়ে ফসকালেন রাসেল। রান হলো না। রাসেলের রান তখন ৩ বলে ১।
১৭.২ ওভারে সিরাজের অফস্টাম্পের বাইরের বল ফের মারতে গিয়ে ফসকালেন জামাইকান তারকা রাসেল। তার রান তখন ৪ বলে ১।
১৭.৩ ওভারে সিরাজের ওয়াইড বল ব্যাটে লাগাতে পারলেন না রাসেল। সিরাজের পরবর্তী বলটি নো হওয়ায় ফ্রি হিটে ৬ মারলেন তিনি। কিন্তু রাসেলের খাতায় কোনও রান হল না। রাসেলের রান হল ৪ বলে ১।
১৭.৩ ওভারে সিরাজের ওভার বাতিল হওয়ায় বল করতে এলেন স্টোইনিস। অজি তারকার স্লোয়ার বলে লং অনের উপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকালেন রাসেল। শুরু হল দানবের হুঙ্কার।
১৭.৪ ওভারে স্টোইনিসের পরবর্তী লেনথ্ বল। লং অফের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে ঠাঁই পেল স্ট্যান্ডে। ফের ৬।
১৭.৫ ওভারে ছন্দ হারিয়ে অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরে বল করলেন স্টোইনিস। ওয়াইড ডাকলেন আম্পায়ার। অতিরিক্ত বলটিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে ১ রান নিলেন রাসেল।
১৮.২ ওভারে প্রয়োজন ১১ বলে ২৯ রান। সাউদির লেনথ্ বল উড়ে গেল লং লেগের উপর দিয়ে। বিশাল ছক্কা!
১৮.৩ ওভারে কিউয়ি তারকার শর্ট ওয়াইড একটি বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের উপর দিয়ে সবাইকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখে সীমানা পেরুলো। ফের ৬।
১৮.৪ ওভারে প্রান্ত বদল করলেন সাউদি। এলেন রাউন্ড দ্য উইকেট। কিন্তু ফলাফল সেই একই। ফুলটস বল উড়ে গেল মিড উইকেটের উপর দিয়ে। এলো ওভারের তৃতীয় ছক্কা।
১৮.৫ ওভারে সাউদির ফের শর্ট বল। ফাইন লেগ দিয়ে সীমানা পেরুলো। এটাই রাসেলের ইনিংসের একমাত্র বাউন্ডারি।
১৮.৬ ওভারে ফের লেনথ্ বল। এবার বোলারের মাথার উপর দিয়ে সোজা ছক্কা। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে নাইট রাইডার্সদের তখন স্কোরস লেভেল। অর্থাৎ সমান সমান। রাসেল বলগুলো মোকাবিলা করে যে রান হাঁকিয়েছেন তা এ রকম ০, ১, ০, ০, ৬, ৬, ৬, ১, ৬ ,৬, ৬, ৪, ৬। স্ট্রাইক রেট ৩৬৯.২৩! অর্থাৎ প্রথম চার বল খেলে মাত্র ১ রানে অপরাজিত থাকা রাসেল পরবর্তী ৯ বলে ৫০০-এর উপর স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪৭ রান!
কী বলা যায়? অবিশ্বাস্য? না, রাসেলের কথায়, ‘আমি যতক্ষণ ক্রিজে আছি, সব সম্ভব।’